কাব্য

নৌকা ও জলের কাব্য...

9:51 AM

কোন্‌ পথে যাবে কিছু নাই জানা,
কেহ তারে কভু নাহি করে মানা,
ধ'রে নাহি রাখে, ফিরে নাহি ডাকে -
ধায় নব নব দেশে।
কাগজের তরী, তারি 'পরে চড়ি
মন যায় ভেসে ভেসে ...
  

...ছলছল শব্দ তুলে কত দূরে যায় তরী, কোনোদিকে সীমানা যে নাই! কিছু আগে দিবসে বিভক্ত ছিলাম কত-না আকারে-প্রকারে, বিরোধে, তুলকালাম শোরগোলে। আর এই অন্ধকারের নৌকায় আমরা নদীর জলে ঠিকানাবিহীন ভেসে যাচ্ছি স্রোত ধরে-আসা সব চিহ্ন মুছে দিয়ে। জগতের যত উপাধি-খেতাব, অসহ বিভক্তিরেখা নিভে গিয়ে নৌকা ও জল, সময় ও স্থান এক তারাস্রোতে মিশে কোথায় চলেছে!
 
 
গগনের তলে মেঘ ভাসে কত
আমারি সে ছোটো নৌকার মতো -
কে ভাসালে তায়, কোথা ভেসে যায়,
কোন দেশে গিয়ে লাগে।
ঐ মেঘ আর তরণী আমার
কে যাবে কাহার আগে...
 
 

 তবু প্রভু তথাগত, নির্বাণের বিছানায় শুয়ে
টের পাই— ধীরে ধীরে আমাতে মাছের সংসার
নম্র হয়ে ঢুকে পড়ে, যেরকম রেখে দিলে হাড়
দূরের উঠানে, সান্ধ্য-নক্ষত্রেরা তাকে লেহন করলে
পুরাণপাখির জন্ম হয়, আমি টের পাই, প্রভু,
জলের অভুক্ত স্বপ্ন নম্র গানে আমাকে আরেক
জন্মের ভাসানে ধীরে ধীরে বয়ে নেয়।
 
 
তুমি কি জানিতে না জলের আদরে
গলে যায় পিরীতের সোনার শরীর
তুমি কি জানিতে না নদীর আছে
ছলাকলা, ছিনালীর মগ্নকলা
নাও থেকে খুলে নিয়ে কাঠ ডুবায়, চোবায়
পিরীতের কোন ঘাটে শেষে কাষ্ঠ ভেসে যায়...
 
 
কৃতজ্ঞতাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিবলী সাদিক।

*আমার এই ব্লগে ব্যবহৃত সব কবিতা, পংক্তির অল্প কিছু আমার নিজের, বেশীরভাগই বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগ এবং ব্যক্তিগত ব্লগ থেকে সংগ্রহীত। সবার নাম মনে থাকে না বলে আলাদাভাবে কাউকে ধন্যবাদ দিচ্ছি না। আপনাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

You Might Also Like

6 comments

SUBSCRIBE

Like us on Facebook